মলয় দে নদীয়া:- পিঠে স্কুলের ব্যাগ এর বদলে প্লাস্টিক কুড়ানো বস্তা, এই বয়সে সৃজনশীলতা শেখার বদলে হোটেল রেস্তোরায় খাবার দেওয়া, বাসন মাজা, শিক্ষামূলক ভ্রমণের বদলে ট্রেনে বাসে হকারী, সাইকেল মোটর গ্যারেজ এর সহযোগী শ্রমিক সমাজের নানা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুশ্রমিকদের। শিশুশ্রম দন্ডনীয় অপরাধ, চাইল্ড হেল্প লাইন নাম্বার, হৃদয় বিদীর্ণ বিভিন্ন ছবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা মন্তব্য, বিশ্ব শিশু শ্রমিক দিবস, বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবস পালন এসবের মাঝে শহরের এক কোণে পড়ে থাকা সাইনবোর্ড “নদিয়া জেলা শিশু শ্রমিক পুনর্বাসন সমিতি”। ঠিক এরকমই শান্তিপুরের দুটি বিদ্যালয়ে আমাদের ক্যামেরা পৌঁছে ছিল খবর সংগ্রহের জন্য.. চলুন দেখে নেওয়া যাক কেমন আছেন তারা… ২০০৬ সালে নদীয়া জেলা শিশু শ্রমিক পুনর্বাসন সমিতির উদ্যোগে ১০০ তি বিশেষ বিদ্যালয় তৈরিতে সক্ষম হলেও সরকারের উদাসীনতা অথবা অনুপ্রেরণা দানের অভাবে উঠে যেতে বসেছে বেশিরভাগটাই ইউনিটই।

শান্তিপুর ব্লকে তন্তুবাই স্কুল ,রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুল ,ঘোড়ালিয়া এবং কাঁসারি পাড়ায় চারটি ইউনিট চালু হলেও বর্তমানে দুটি কোনরকমে চালু থাকলেও বাকি দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। দুজন শিক্ষক একজন হিসাব রক্ষক, একজন সহযোগী, দুজন মিড ডে মিল কর্মী নিয়ে দিবাকর বিশ্বাস টিচার ইনচার্জ হিসেবে ২২ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ১৪ বছর ধরে চালাচ্ছেন রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্পেশাল স্কুল।

স্কুলের অন্য এক শিক্ষক সঞ্জয় পাল জানান “২০০৭ সালে ভর্তি হওয়া বাব্বাস সরকার, আজ স্নাতক।বিশ্বজিৎ সরকার অনিমা প্রামানিক এর মত বহু ছাত্র-ছাত্রী আজ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের দোরগোড়ায়।তাই সরকারি সহযোগিতা এবং সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলির আন্তরিকতায় এরকম অনেক শিশুশ্রমিককেই পৌঁছানো সম্ভব সমাজের মূলস্রোতে।”
